বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাছে বেঁধে নির্যাতন: আসামি গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন 

  •    
  • ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:১২

নির্যাতনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মহানন্দ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘ঘটনার দিন প্রায় চার ঘণ্টা ওই নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এ সময় তার ছয় মাসের শিশুকে মায়ের বুকের দুধও খেতে দেয়া হয়নি। পরে আমি দুই বন্ধুর সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করি।’

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে চোর সন্দেহে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার এক নারীকে বাড়ি থেকে ধরে এনে প্রায় চার ঘণ্টা গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ আদিবাসী কোচ সমিতি।

বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ওই রানীর পরিবার, আত্মীয়স্বজন, আদিবাসী কোচ সমিতির সদস্য ও এলাকাবাসী অংশ নেন।

এ সময় বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী ইউনিয়নের সভাপতি রূপচান বর্মণসহ আদিবাসী নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তারা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদেরর শিগগির গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

উপজেলার একটি গ্রামের ওই নারীকে চোর সন্দেহে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় রোববার রাতে তিনি মামলা করেন। তবে বুধবার পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

এতে মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, তার ছেলে মোস্তফা ভূঁইয়া ও সজিব ভূঁইয়া এবং তার মেয়ে মোছা. খুকি ও সুমি আক্তাকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই নারীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। দুই সপ্তাহ আগে তার ছোট ছেলে এক নম্বর আসামি মনিরুল ইসলামের বাড়ি থেকে ঘুড়ি বানানোর জন্য পুরোনো পত্রিকা আনে এবং তার সন্তানদের সঙ্গে ঘুড়ি উড়ায়। কিন্তু হঠাৎ মনিরুলের বাড়ি থেকে স্বর্ণ ও টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান কাগজপত্র চুরির গুজব রটে। ৩ জানুয়ারি তার ছোট ছেলেটিকে ধরে নিয়ে মারধর করেন মনিরুল। মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চুরির স্বীকারোক্তি নেন। এই প্রেক্ষাটে গত শনিবার মামলার চার ও পাঁচ নম্বর আসামি ওই নারীকে বাড়ি থেকে ধরে এনে স্থানীয় করিম ভূঁইয়ার বাগানে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধেন। এরপর আসামিরা মিলে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় ওই নারীর পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান স্থানীয়রা।

এ বিভাগের আরো খবর